রোববার কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন ও আরও কয়েকটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী বগুড়া সফর করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জানান, উদ্বোধনের তালিকায় থাকা প্রকল্পগুলোর ব্যয় হয়েছে ২৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের প্রকল্পগুলো ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
মোট ১৭টি প্রকল্পের ব্যয় ৩১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সান্তাহার খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, দাতা সংস্থা জাইকার সিংহভাগ আর্থিক সহায়তায় প্রায় তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে প্রথম নির্মিত হয়েছে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এই খাদ্যগুদাম।
“২৫ হাজার মেট্টিক টন ধারণক্ষমতার মাল্টি স্টোরিড এই ওয়্যারহাউস নির্মিত হয়েছে বগুড়ার ‘সান্তাহার সাইলো’ ক্যাম্পাসে।
“খাদ্য গুদামটি পুরোপুরি সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হবে। এ গুদামের ছাদজুড়ে শতাধিক সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে মোট ৩৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।”
উৎপন্ন ওই বিদ্যুৎ দিয়েই পুরো গুদামের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক এই খাদ্য গুদামে সব ধরনের খাদ্যশস্যই সংরক্ষণ করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।
তিনি জানান, এর আগে এই ক্যাম্পাসে ১৯৬৯ সালে নির্মিত খাদ্যশস্য (গম) সাইলোর ধারণ ক্ষমতাও ছিল ২৫ হাজার মেট্টিক টন, যার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৬৫ মার্কিন ডলার।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রকল্পগুলো হলো বগুড়া প্রেসক্লাব ভবন, শাজাহানপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, গাবতলীর খৈলসাকুড়ি সেতু, একই উপজেলার জয়ভোগ সেতু, সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ী সেতু, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোনাতলা উপজেলার ১০ কিলোমিটার ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প।
উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বিকালে সান্তাহার স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সান্তাহার, আদমদিঘি, দুপচাঁচিয়া, নওগাঁ, কাহালু, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্লোগানের ব্যানার ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সান্তাহারের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে দলীয় তোরণ।