খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চলছে পরিবহন ধর্মঘট

সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক-মিশুকের মৃত্যুর দায়ে বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 04:59 AM
Updated : 26 Feb 2017, 08:27 AM

পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, রোববার ভোর ৬টা থেকে বিভাগের সব রুটে এ ধর্মঘট শুরু হয়। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে সকালে যাত্রী বা পণ্যবাহী কোনো বাহন ছেড়ে যায়নি।

এদিকে দূরপাল্লার যানবাহন না চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আন্তঃজেলা বাস যাত্রীরা। অনেকেই সকালে টার্মিনালে এসে গাড়ি না পেয়ে ফিরে গেছেন।   

যশোরের চাঁচড়া এলাকায় আঞ্চলিক কমিটির অফিসে (শ্রমিক ভবন) শনিবার বেলা ১১টায় এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাস আরোহী চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেওয়া সেই দুর্ঘটনার পর দায়ের তরা মামলার রায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

ওই রায়ের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিতে ‘বাধ্য হয়েছেন’ মন্তব‌্য করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু বলেন, “শ্রমিকরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে গাড়ি চালাবে না।”

 

কর্মসূচি ঘোষণার আগে শ্রমিক ভবনে ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির জরুরি সভা হয়। আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টুসহ ৩৪টি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন।

সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, তারেক-মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের চালক জামির হোসেনকে ‘অন্যায়ভাবে’ সাজা দেওয়া হয়েছে।