শনিবার দুপুরে প্রশাসন ভবন আটকে মতিহার থানা আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
তাদের দাবির কোনো হেরফের হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের হুমকিও দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
তিন মাসে প্রধান ফটকে তালা, প্রশাসন ভবন ঘেরাও, একাডেমিক ভবন অবরোধ, পরীক্ষা কেন্দ্রে তালাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দফায় দফায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এ নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ডাবলু সরকার বলেন, “আমরা শুনেছি আজকের সিন্ডিকেটে বিএনপির আমলে ‘অবৈধভাবে’ যে ৫৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে মাস্টাররোলে থাকা ২৫০ জনের চাকরি অ্যাডহকের মাধ্যমে স্থায়ী করা হবে।
“এর প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই নিয়োগ দেবে না বলে আশস্ত করায় আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসছি।”
আর নিয়োগ যদি দেওয়া হয় তাহলে এই প্রশাসনিক ভবনের তালা আর খুলবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, বেলা ১টায় শুরু হওয়া সিন্ডিকেটে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো এজেন্ডা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রশাসনিক জটিলতা থাকায় আজকে এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে।”
এ বিষয়ে উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, “নিয়োগের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্বচ্ছ রয়েছে। তারা বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে অযৌক্তিক দাবি করে আন্দোলন করছে।
“যদি কেউ গুজব ছড়ায় তাহলে তার জন্য রাষ্ট্রীয় আইন আছে। তারা যদি আমার প্রতিষ্ঠানের কেউ হতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু এখানে আমার কিছু করার নেই।”