শনিবার হাসপাতালের পরিচালক একেএম মাসুদ আহসান এ কথা জানিয়েছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই হাসপাতালে এক রোগীর স্বজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের মারধরের শিকার হন। মারধর ও কান ধরিয়ে উঠ বস করানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসকদের নিয়ে সমালোচনা ওঠে।
ওই ঘটনার পর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ বাতিলের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ঘটনা তদন্তে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়।
পরিচালক আহসান বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিরাজগঞ্জের ওই রোগীর স্বজন, বগুড়ার কয়েকজন সাংবাদিক, মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই শাহ আলম ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকসহ ঘটনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মো. হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পৃথকভাবে বক্তব্য শুনেছি এবং স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। এমনকি সাংবাদিকদের নিকট থেকে প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছি।”
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিগরিই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এম এ রাশেদ।