শনিবার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ময়দানে জেলা পুলিশ আয়োজিত কমিনিউটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, গাইবান্ধার এমপি লিটন হত্যার পর অনেক রকম কথা বলা হয়েছে। পত্র পত্রিকায় নানা কথা লেখা হয়েছে।
“কিন্তু আমরা নিরপেক্ষভাবে পেশাদারি মনোভাবে তদন্ত করে হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং হত্যায় সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার করেছি।”
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিতে মারা যান।
ঘটনার প্রায় দুই মাস পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে লিটন হত্যায় সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জে আবার এমপি হওয়ার জন্য কাদের খান সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে জানায় পুলিশ।
লিটন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যে কাদের খানের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া ও মেহেদী গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাকিম আদালতে ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি’ দেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কাদের খানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওই সংবাদ সম্মেলনে জানায় পুলিশ।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম খান।
সমাবেশে মাদক ব্যবসা ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কয়েকজন নারী-পুরুষকে জীবিকা নির্বাহের জন্য রিকশা ও সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন পুলিশ প্রধান।