শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবিরগুলোতে অনেক কষ্টে বসবাস করছেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।
“এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।”
রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সরিয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে নেওয়ার জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গেও কথা বলেন রিয়াজুল হক।
“তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি ও জনমত তৈরি করাই সরকারের এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়।”
মিয়ানমারে ‘মানবাধিকার লংঘনের শিকার’ রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা নিজের চোখে দেখার পাশাপাশি করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে তিনি এ পরিদর্শনে আসেন বলে জানান।
উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুদ্দিন মো. শিবলী নোমান সাংবাদিকদের জানান, সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত ও নিবন্ধিত দুইটি ক্যাম্প পরিদর্শনে যান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক। সেখানকার নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলেন তিনি।
“কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারে চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের কথাও তুলে ধরেন রোহিঙ্গারা।”
তার সঙ্গে থাকা সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা জি এম মোস্তাফিজ জানান, বিকালে উখিয়া থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর রিয়াজুল হক কক্সবাজার সার্কিট হাউজে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় নয় পুলিশ নিহত হওয়ার পর এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে জাতিসংঘের হিসাব।
ওই অভিযানে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারানোর খবর দেয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। রাখাইন অঞ্চলে সহস্রাধিক ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে।