বোবা কিশোরীকে দলবেঁধে ‘ধর্ষণ’

নরসিংদী শহরতলীতে অজ্ঞাত পরিচয় এক বোবা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2017, 11:51 AM
Updated : 24 Feb 2017, 11:51 AM

মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী শহরতলীর টাওয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বুধবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর মেয়েটিকে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রাখা হয়েছে।  

গ্রেপ্তাররা হলেন টাওয়াদী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মুরাদ (১৭), একই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে সামসুল (২২), ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সুরুজ আলীর ছেলে সুমন (২৬) ও ফজলুল হকের ছেলে উজ্জ্বল (১৭)। শেষের দুজন ওই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

আটক যুবকরা মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে পরিদর্শক সালাহউদ্দিন জানান।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নরসিংদী রেলস্টেশন এলাকা থেকে এই কিশোরীকে (১৫) খাবার দেওয়ার কথা বলে চার অটোরিকশা চালক মুরাদ, সুমন, উজ্জ্বল ও সামসুল শহরতলীর টাওয়াদী গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।

“সেখানে একটি ঘরে রেখে তাকে মুরাদ ও সুমন ধর্ষণ করে। ওই সময় উজ্জ্বল ও সামসুল তার হাত ও মুখ ধরে রাখে।”

ওই মেয়েটি বারবার চিৎকার ও মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ছুটে আসে এবং ওই চার যুবককে আটক করে টহল পুলিশে সোপর্দ করে, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বোবা মেয়েটি তাকে ধর্ষণের কথা ইশারায় বুঝিয়েছে। ওই সময় নরসিংদী শহর থেকে বোবাদের এক শিক্ষককে ডেকে তার সঙ্গে কথা বলানো হয়। এতে পুলিশ তার ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারে।

“পরে জিজ্ঞাসাবাদে চার যুবকও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।”

পরিদর্শক সালাহউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মুরাদ, সুমন, উজ্জ্বল ও সামসুলের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মেডিকেল পরীক্ষার পর মেয়েটিকে সমাজসেবা কর্মকর্তা মামুনের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।