শুক্রবার দুপুরে কেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে কেন্দুয়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তবে ছাত্রদলের দাবি, তাদের সমাবেশ শেষের দিকে অকস্মাৎ পুলিশ তাদের লাঠিপেটা শুরু করে।
ওসি জানান, আহতদের নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন এসআই সামেদুল হক, সঞ্জয় সরকার, আল আমিন, আবুল বাশার, আব্দুল কাদের, এএসআই জালাল আহমেদ, কনস্টেবল সুমন মিয়া, মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন, আবুল খায়ের, সোহেল রানা, আব্দুল কুদ্দুস ও রফিকুল ইসলাম।
“এ সময় ছাত্রদলের অন্তত তিনশ নোতকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানেও তারা হামলা চালিয়ে মারধর করে পুলিশ সদস্যদের।
“পরে কেন্দুয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।”
ওসি বলেন, আহত ১৩ পুলিশকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের সমাবেশ শেষের দিকে ছিল। ওই সময় হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর লাঠিপেটা শুরু করে। এতে তিনি নিজে, জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরীসহ তিনজন আহত হন।
পরে গ্রামবাসী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পুলিশকে প্রতিরোধ করে বলে জানান ফরিদ।