বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল সার্ভিসেস উইং এর প্রধান সাইদ উদ্দিন হেলাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিআরপিতে ভর্তির পর আট সদস্যের দল গঠন করে বিভিন্ন থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে খাদিজার চিকিৎসা শুরু হয়।
“প্রায় তিন মাসের চিকিৎসার পর খাদিজা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।”
ফলে শুক্রবার খাদিজা বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন বলে এ চিকিৎসক জানান।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়।
হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় বদরুল কারাগারে রয়েছেন।
সিআরপির নিউরলজি বিভাগের ক্লিনিক্যাল ফিজিও থেরাপিস্ট সুলক্ষনা শ্যামা বিশ্বাস বলেন, খাদিজা শুরুতে ওঠা বসা ও চলাফেরায় পরিবারের উপর নির্ভরশীল ছিল।এখন সে সম্পূর্ণ নিজে নিজে চলাচলে সক্ষম।
পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগের থেরাপিস্ট তাহমিনা সুলতানা বলেন, শুরুতে খাদিজার মুখের মাংস পেশি ও জিহ্বা নড়াচড়াতে দুর্বলতা থাকায় তার কথায় জড়তা ছিল।
“নিয়মিত থেরাপি দেওয়া পর বর্তমানে খাদিজা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে, অন্যের কথা ভালভাবে বুঝতে পারে। তার স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।”
খাদিজার বলেন, “আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ্। যখন সিআরপিতে আসি তখন উচ্চস্বরে কথা বলতে পারতাম না, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতাম। আর এখন স্বাভাবিকভাবে সব কাজ করতে পারছি।”
আবার লেখাপড়া শুরু করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান খাদিজা।
সংবাদ সম্মেলনে সিআরপির থেরাপিস্টরা ছাড়াও খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।