‘লুকিয়ে রেখে গুমের মামলা’, গাজীপুরে আটক ২

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার এক কিশোরকে লুকিয়ে রেখে আটজনের বিরুদ্ধে গুম-হত্যার অভিযোগে মামলা করার খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিগাজীপুর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2017, 10:31 AM
Updated : 23 Feb 2017, 10:43 AM

ওই কিশোরকে নিখোঁজের ২১ দিন পর গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানার এসআই আবুল হাসান জানান, শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধারসহ তার দুই আত্মীয়কে আটক করা হয়।

কিশোর ইসরাফিল (১৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার তারানিপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।

আটক দুই নারী হলেন - কিশোর ইসরাফিলের ফুফু মরিয়ম আক্তার সাথী (৪০) ও বোন মর্জিনা (২৬)।

এসআই হাসান বলেন, মরিয়ম আক্তার শ্রীপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকেই তাদের মঙ্গলবার রাতে আটক করার পর সাতক্ষীরা পাঠানো হয়।

কিশোর ইসরাফিলের বাবা আবদুল মজিদ মামলায় অভিযোগ করেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে তার কিশোর ছেলে ইসরাফিলকে অপহরণ করে ভারতে পাচার কিংবা জ্বলন্ত ইটভাটায় ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পৈইখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ আটজন গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তার ছেলেকে অপহরণ করেন বলে তার অভিযোগ।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রহিম বলছেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থক ছিলেন ওই কিশোরের বাবা আব্দুল মজিদ।

“নির্বাচনে পরাজিত হয়ে রেজাউল করিম আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হন। আমার সুনামে ইর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই কিশোরের বাবার মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করানো হয়েছে।”

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া কিশোর ইসরাফিলকে সাতক্ষীরায় আনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে গাজীপুরে পাঠানো হয়েছে।

“ইসরাফিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে পুলিশ ধারণা করছে।”