সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই চা-বাগানের বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব ও তার ছেলে হাইকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
সেই রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আর ২৬ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে প্রতারণার মামলায় এই দুইজন ছাড়াও অন্য চারজনের কী সাজা হবে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রতারণার মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি।
“বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে সাইফুজ্জামান হিরো প্রতারণা মামলার রায়ের দিন ঠিক করে দেন।”
১৯৯৯ সালের ২৫ অগাস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারাপুর চা বাগান নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। পরে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
উপ-কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশে তারাপুর চা-বাগান অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলপত্র সৃষ্টি করে প্রতারণামূলকভাবে লিজি হিসেবে দখলে রাখার জন্য রাগীব আলীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয়বিধ মামলা করতে বলে।
প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার এই ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন সিলেট সদরের তৎকালীন ভূমি কমিশনার এসএম আব্দুল কাদের।
তদন্ত শেষে গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান।
পিপি মাহফুজুর বলেন, “বিচারক প্রতারণা মামলার রায় দেবেন আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।”
স্মারক জালিয়াতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সিলেটের জজ আদালতে আপিল আবেদন দাখিল করেছেন রাগীব ও তার ছেলে হাই। আগামী ৮ মার্চ আপিল গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।