সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, বুধবার রাত ১টার দিকে কাদেরের পশ্চিম ছাপরহাটি গ্রামের বাড়ির উঠান খুঁড়ে ছয় রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তুল ও একটি ফাঁকা ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বুধবার সারাদিন কাদেরের বাড়ি খুঁজে ও পুকুর সেচে তল্লাশি করে কোনো অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি।
“পরে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকা কাদেরের দেওয়া তথ্যানুয়ায়ী গভীর রাতে তার বাড়ির উঠান খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা এই পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, এই পিস্তলটি লিটন হত্যায় ব্যবহৃত হয়ে থাকবে। এটা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।”
এছাড়া কাদের এখনও ৩০ রাউন্ড গুলির হিসেব দিতে পারেননি।
ওসি আতিয়ার বলেন, “পুলিশ কাদেরকে লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও গুলি থানায় জমা দিতে বলেছিল। তিনি মোট ৪০ রাউন্ড গুলির মধ্যে মাত্র ১০ রাউন্ডসহ একটি পিস্তল থানায় জমা দেন।
“বাকি ৩০টি গুলি তিনি কী করলেন তার কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।”
গত ১ ডিসেম্বর রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গার নয়াবাজার এলাকায় এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়। পরে সেখান থেকে ছয়টি গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন স্থানীয়রা উদ্ধার করে থানায় জমা দেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সুন্দরগঞ্জের শাহবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে গুলিতে মারা যান।
পুলিশের দাবি, কাদের খান এক বছর ধরে সংসদ সদস্য লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজনকে একটি গুদামে ছয় মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘আগামী নির্বাচনে নিজের পথ পরিষ্কার করতেই’ সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল কাদের খান এ হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশের দাবি।