সিরাজগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে দিনমজুরের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে, যাকে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2017, 03:23 AM
Updated : 23 Feb 2017, 05:53 AM

তবে পুলিশ বলছে, মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ঠাণ্ডু মিয়া (৪৫) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দেওজান সলিল গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে।

নিহতের শ্বশুর রায়হান আলী প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় চৌহালী উপজেলার বন্যামোড়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন।

“চৌহালী থানার এএসআই রবিউল ইসলাম সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে করে সেখানে এসেই ঠাণ্ডুকে হাতকড়া পরিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। স্থানীয়রা আটকের কারণ জানতে চাইলেও তিনি কিছু বলেননি। তারপর জোরপূর্বক ঠাণ্ডুকে মোটরসাইকেলের পেছনে তুলে নিয়ে যান।”

এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল থেকে ঠাণ্ডুর মৃত্যুর খবর আসে।

ঠাণ্ডুকে এএসআই রবিউল অন্যায়ভাবে আটকের পর মারধর করে হত্যা করেছেন বলে তার শ্বশুর রায়হান আলীর অভিযোগ।

ঠাণ্ডুর বিরুদ্ধে কোনো থানায় কোনো মামলা নেই দাবি করে তিনি জামাতা হত্যার বিচার চেয়েছেন।  

তবে এএসআই রবিউল ইসলাম বলছেন, “থানার ওসির নির্দেশে ঠাণ্ডুকে আটক করেছিলাম।

“মোটরসাইকেলে আনার পথে তিনি লাফ দিয়ে পালানোর সময় মাথায় গুরুতর জখম হন। তাকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রামপ্রসাদ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঠাণ্ডুকে হাসপাতালে আনা হয়।

“হাসপাতালে আনার আগেই ঠাণ্ডু মারা যান। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তার মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।”

এ বিষয়ে চৌহালী থানার ওসি আকরম হোসেনের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নাগরপুর থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠাণ্ডু নাগরপুরের বাসিন্দা হলেও ঘটনাস্থল চৌহালী থানায় হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে চৌহালী থানায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।