বুধবার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে করা মামলায় নয় জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভাঙার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলে মেয়র ও কাউন্সিলরকে দেখা গেলেও তাদের মামলায় আসামি করা হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
তবে ওই মামলায় কেউ আটক হয়নি বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন কার্তিক, আলম, নুরু ইসলাম, ফকির মিয়া, নুরুজ্জামান, মঙ্গু লাল, লালু লাল, মফিজ ও লিটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক এসআই জানিয়েছেন, এজহারে উল্লেখিত আসামিরা ফেনী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী (সুইপার)।থানার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় যাদের ছবি দেখা গেছে তাদের কাউকে আসামি করা হয়নি।
ফেনীর পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, “ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হয়েছে।”
গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুপার রেজাউল হক এই ফলকটি উন্মোচন করেন। মঙ্গলবার বিকালে ফলকটি ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়।
থানার প্রধান ফটকের সামনে সিসি ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি ধরা পড়ে।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম নিয়াজি স্বপনসহ আট আট থেকে ১০ জন কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বিকাল ৪টা ৪৪ মিনিটে ফেনী মডেল থানার প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ান।
পরে আলাউদ্দিনের নির্দেশনায় দুই ব্যক্তি শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে মোজাইক পাথরের নাম ফলকটি ভাঙতে শুরু করে।
আড়াই মিনিটের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষে করে পৌরসভার ময়লাবহনকারী গাড়ি করে ভাঙা আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায় ফুটেজে।