জুতা পায়ে শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে সমালোচনার মধ্যে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া।

ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 02:04 PM
Updated : 21 Feb 2017, 02:04 PM

রফিক উদ্দিন ধোবাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও ঘোষগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

শহীদ বেদিতে ফুল দিতে যাওয়া শওকত আলী জানান, একুশের প্রথম প্রহরে ধোবাউড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান রফিক উদ্দিন। সেখানে তিনি জুতা পায়ে ফটোসেশনে অংশ নেন।

ওই সময় তার পাশে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মজনু মৃধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, থানার ওসি শওকত আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল হোসেন খান প্রমুখ।

এদিকে শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে ওঠায় রফিকের সমালোচনা করছেন সর্বস্তরের মানুষ।

ইউএনও দেলোয়ার হোসেন বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের আগেই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে না ওঠার ব্যাপারে মাইকে অনুরোধ করা হয়েছিল। এরপরও একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তিনি যে কাজটি করেছেন তা অন্যায় এবং শহীদদের প্রতি চরম অবমাননাকর।

ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম বলেন, জুতা পায়ে বেদিতে ওঠা কোনোভাবেই কারো জন্য ঠিক না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠা শহীদদের প্রতি অবমাননা করা। এটি রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিবিরোধী কাজ। ভাষা শহীদদের প্রতি এই অশ্রদ্ধা মানা যায় না।

ময়মনসিংহ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সদস্য সচিব সেলিম সরকার বলেন, রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা; কিন্তু বেদিতে জুতা নিয়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লজ্জার বিষয়। সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “একুশের প্রথম প্রহরে আমি শহীদ মিনারে ফুল দিই। পরে ফিরে আসার সময় আমি ইউএনও সাহেবের কাছে বিদায় নিতে যাই। সে সময় সেখানে সবাই ছবি তুলছিলেন। ছবি তুলতে গিয়ে কখন শহীদ বেদিতে উঠে গেছি আমি নিজেও তা লক্ষ করিনি।”