এমপি লিটনের বোনের গাড়ি ভাংচুর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দেড় মাস আগে নিহত সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোনের গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 09:05 AM
Updated : 22 Feb 2017, 03:26 AM

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহরের বিএডিসি অফিসের সামনে লিটনের বড় বোন আফরোজা বারীর ব্যক্তিগত গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পেছনের কাচ ভেঙে যায়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আফরোজা বারী উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনার থেকে হেঁটে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় আফরোজার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তার মেয়েজামাই ও নাতি শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

“গাড়িটি বিএডিসি অফিসের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে গাড়িতে থাকা মেয়েজামাই বা নাতির কোনো ক্ষতি হয়নি।”

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিতে মারা যান।

ওই শূন্য আসনে ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ১ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ২২ মার্চ ভোট গ্রহণে কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগনেতা সাজেদুল দাবি করেন, “উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির সঙ্গে আফরোজা বারীর পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল।

“উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এই ননদ-ভাবি। আফরোজা মনোনয়ন না চাইলে স্মৃতি মনোনয়ন পেতেন বলে তার ধারণা। এ কারণে স্মৃতির অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়েছে।”

তবে স্মৃতির কোনো ‘অনুসারী’র নাম বলেননি আওয়ামী লীগনেতা সাজেদুল।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছামিউল ইসলাম সামু বলেন, “গাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি ঘটনার সময় সুন্দরগঞ্জে ছিলাম না।”

ছাত্রলীগের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।

এ বিষয়ে আফরোজা বারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আফরোজার ছোট বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলী বলেন, “গাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি শুনেছি। আমি গ্রামের বাড়িতে (এমপি লিটনের বাড়ি) আছি। আর বোন আফরোজা রয়েছেন সুন্দরগঞ্জ শহরে। তিনি ফিরলে আলোচনার পর থানায় অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি ভাংচুরকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”