লোকাল ও ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বাস মালিক-শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে কমলকুঁড়ি বিদ্যা নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম বাস চাপায় নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বাসটি জ্বালিয়ে দেয়। এরপর থেকে ওই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিষয়টির মীমাংসা না হলে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে গোপালগঞ্জের সকল অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও স্মারকলিপিতে জানানো হয়।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, কোটালীপাড়ায় দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা একটি লোকাল বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। চালককে গ্রেপ্তার ও শ্রমিকদের মারপিট করে।
“এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। প্রশাসন সুষ্ঠু সমাধান না দিলে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হবে।”
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”
জেলা প্রশাসক মো. মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, “বুধবার বাস মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও কোটালীপাড়ার স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক হবে। আশাকরি এ বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হবে।”