রোববার ভোলায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন করবেন। সহায়ক সরকার তৎকালীন দায়িত্ব পালন করবে।
“আবার কেউ বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। আসলে এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে, এটাই সংবিধানের বিধান।
“এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি সেই নির্বাচনে আসবে। দেশবাসীরও দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা। ওই সময় সারাদেশে ব্যাপক জ্বলাও পোড়াও হয়। এরপর বিএনপি মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে দেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হওয়ার পর এ কমিশন নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন।
খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের অর্থ দুর্নীতির দুই মামলার বিচারকাজ চলার পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহসহ নাশকতার অভিযোগে বেশকিছু মামলা রয়েছে।
ভোলা শহরের নবারুন সেন্টারে ব্যাংক এশিয়ার একটি শাখা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন বন্ধ করার মতো ক্ষমতা বিএনপির নেই। কারণ তারা ২০১৪ সালেও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
“দেশের মানুষ চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সকলে অংশগ্রহণ করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আ. রউফ চৌধুরী, রুমি এ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় ভোলা জেলা প্রশাসকসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।