রোববার ভোর রাতে উপজেলা সদরের ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ফারুক সিকদারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাত জনের মধ্যে ছয় জন হলেন নারী। তাদের রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন গৃহকর্তা ফারুক সিকদারের স্ত্রী সাহেরা বেগম (৪৬), শারমিন আক্তার (৩০), কবিতা (২৭), তাসলিমা (৩০), সৈয়দ মান্নান (৬০), সালেহা (৬০) ও আম্বিয়া বেগম (৬০)।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি ২১ শতাংশ জমিতে ফারুক সিকদারের বাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ ফারুক ও তার লোকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে।
“ওই মামলায় ফারুক ও তাদের বাড়ির পুরুষ সদস্যরা পালিয়ে রয়েছেন। এ সুযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল হামলা চালিয়ে বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে।”
খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল ও তার মাসহ তাদের দলীয় পাঁচ জনকে আটক করে থানায় আনে। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবুল খায়ের মাহামুদ রাসেল জানান, আহতদের শরীরে লোহার রড বা পাইপ দিয়ে পেটানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তারা এখন শঙ্কামুক্ত।