সিলেটে আ. লীগ নেতার গাড়ি ভাংচুরে মামলা

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2017, 08:43 AM
Updated : 19 Feb 2017, 08:43 AM

রোববার সিলেট কোতোয়ালি থানায় শফিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী কবিরুল ইসলাম কবির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান।

তিনি জানান, মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক এক সভাপতিসহ ২০ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে ওসমানীনগর যাওয়ার পথে হঠাৎ শফিক চৌধুরীর গাড়িতে হামলা করে একদল পরিবহন শ্রমিক।

এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে তার গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়। হামলা করে পরিবহন নেতাদের উপরও।

এ হামলার প্রতিবাদে টিলাগড় এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দেড়ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। বেলা ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা ওই সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় মেন্দিবাগ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন কামরান বলেন, শফিক চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত মদদপুষ্টরা এ হামলা চালিয়েছে।

একই আশঙ্কার কথা জানিয়ে শফিক চৌধুরী বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এ হামলা চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী এ হামলায় জড়িত।

এদিকে, শফিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়ি ভাংচুরের সাথে জড়িত অভিযোগে জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু সরকারসহ ২০ জনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

শনিবার রাতে জেলা ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: দিলু মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবু সরকার ছাড়াও অন্য বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন, মুজিবুর রহমান মুজিব, মো. আমীর উদ্দিন, মো. আনোয়ার খান পাঠান, মো. সোহেল আহমদ, আব্দুস শহিদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মতিন, আমিনুল ইসলাম শাহিন, আব্দুল হামিদ, আবু ছায়েম, সাব্বির আহমদ পাখি, মো. সালেক মিয়া, সাব্বির আহমদ, শফিক আহমদ, ফয়ছল মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, মো. কালা মিয়া, মো. শফিক মিয়া ও মো. আবুল মিয়া।