ইতিমধ্যে কয়েকটা গাছ কাটা হয়েছে বলে শ্রমিক ও সিবিএ নেতারা স্বীকার করলেও ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করছে।
সরেজমিনেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে কর্মরত খালেক নামের এক শ্রমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখানকার নেতারা তাদের ডেকে এনেছেন গাছ কাটতে। গাছ কাটার বিষয়ে অফিসের আদেশ আছে কি না তা তারা জানেন না।
এসব গাছ কী হবে বা কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের (ওজোপাডিকো) সিবিএ নেতা এবং বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজদ ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এসব গাছ কাটতে অফিসিয়াল কোনো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি বলে স্বীকার করেন সিবিএ নেতা আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব ছোটখাটো বিষয়ে এত পদ্ধতি অনুসরণ করতে গেলে কখনও ভালো কিছু করা যায় না। এই গাছ কেটে ওখানে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।
“বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত থাকলেও তারা অবশ্য কোনো অফিসিয়াল অনুমোদন দেননি।”
কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আসলাম মজুমদার বলেন, সরকারি বনজসম্পদ পরিবহন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১১ বিধিমতে গাছ কাটার আগে বনবিভাগ জড়িপ করে প্রাথমিক একটা মূল্য নিরূপণের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তর দরপত্র আহ্বান করে। এর বাইরে অন্যকোনো পথ নেই সরকারি গাছ কাটার।
“কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ অফিসের ভিতরে যেসব গাছ কাটা হয়েছে এবং হচ্ছে সে বিষয়ে ওই অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সেখানে বন বিভাগের কিছু করার নেই।”
এ বিষয়ে ওজোপাডিকোর কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কম্পাউন্ডে কোনো গাছ কাটার তথ্য তিনি জানেন না এবং সেখানে কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না।