ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত, দুর্ভোগে যাত্রীরা

টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ঠাকুরগাঁওয়ে মটর শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2017, 10:35 AM
Updated : 18 Feb 2017, 10:36 AM

ধর্মঘটের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শনিবারও যাত্রীরা বাস টার্মিনালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।

কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। ধর্মঘট নিরসনে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিলেও কোনো সমাধান হয়নি।

নজরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, “রোববার সকাল ১০টায় ঢাকার একটি কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। এজন্য বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে দুপুর ১২টার দিকে বাস টার্মিনালে এসেছি। কিন্তু বাস না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।”

রংপুরে যাওয়া জন্য বাস টার্মিনালে এসেছেন আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, “রংপুরে ডাক্তার দেখানোর জন্য সকাল ১১টার দিকে বাস টার্মিনালে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”

জেলা ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘটের নামে ভণ্ডমি করছে। তারা তাদের ৬০ থেকে ৬৫টি গাড়ি আটরশি, পাকশিসহ বাইরের জেলায় রিজার্ভে পাঠিয়ে দিয়েছে। এভাবে তারা ধর্মঘট করছে।”

জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সড়কে চাঁদাবাজী বন্ধ করলেই এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।

রিজার্ভে গাড়ি পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গাড়িগুলো আমাদের নিজস্ব স্ট্যান্ডে রাখা হয়েছে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।