ভোট চলছে বাঘাইছড়ির মেয়র নির্বাচনে

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভায় উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম ভোট।

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2017, 05:39 AM
Updated : 18 Feb 2017, 06:12 AM

শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টার ও কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাইন ধরে ভোট দিতে দেখা গেছে।

প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সরব হয়ে ওঠে কেন্দ্রগুলো। কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি রয়েছে সর্বত্র।

এটা বাঘাইছড়ি পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচন। ২০০৪ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হলেও প্রথমে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। প্রায় সাত বছর পর ২০১১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আলমগীর কবীর। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দিলেও পারিবারিক কারণে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

মেয়র পদে এবার তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন - আওয়ামী লীগের জাফর আলী খান, বিএনপির ওমর আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান আজিজ।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলরের নয়টি পদের জন্য ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের তিনটি পদের জন্য ছয় জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌরসভাটিতে মোট ভোটার ১০ হাজার ১৭৭ জন। মোট নয়টি কেন্দ্রের ৩৩টি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

একজন রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনে বিচারিক হাকিম, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নয়জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্রের প্রিসাইডি কর্মকর্তা অসীম চক্রবর্তী বলেন, “এ কেন্দ্রে ৯১৮ জন ভোটার রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। সকাল ১০টা পর্ষন্ত সাড়ে ৮ শতাংথ ভোট কাস্ট হয়েছে।”

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবকটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর মেলেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে চার স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

“স্ট্রাইকিং ফোর্স ও সাদা পোশাকের পুলিশ ছাড়াও আছে র‌্যাব ও বিজিবির মোবাইল  ফোর্স। এক কথায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

এটা নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রথম নির্বাচন। সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই কমিশন গঠিত হয়। এ কমিশনের অধীনেই আগামী পাঁচ বছর জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হবে। ২০১৯ সালের শুরুতে তাদের অধীনেই হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

নূরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

এর আগের কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মতো শুরু থেকেই নবগঠিত নির্বাচন কমিশনেরও সমালোচনা করে আসছে বিএনপি।