কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. বোরহান উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার চরগাংনিতে অভিযান চালানোর সময় জলদস্যুরা তাদের চারটি আগ্নেয়াস্ত্র পানিতে ফেলে দেয়।
আটককৃতদের মধ্যে ‘জলদস্যু বাহিনী প্রধান’ সালাহউদ্দিনও রয়েছেন।
আটক অন্যরা হলেন, হেলাল, পান্না, নাজিম, রাসেল, হান্নান, জসিম উদ্দিন, আবদুস সালাম, সারোয়ার, মনির, সুজন, মহসিন, বাবুল, ইমরান ও আলী। তাদের বাড়ি হাতিয়া, বাগেরহাট ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যালেন থেকে জলদস্যুরা তিনটি ট্রলারসহ ২০ জেলেকে হরণ করে।
“এরপর গত দুই দিনে হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও ২০ জেলেকে হরণ করে তারা। তাদের চরগাংনির আস্তানায় আটকে রেখে স্বজনদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে।”
খবর পেয়ে দস্যুদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয় বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন।
তিনি বলেন, উদ্ধার ৪০ জেলের বাড়ি কুতুবদিয়া, ঢালচর, নিঝুম দ্বীসসহ বিভিন্ন এলাকায়। আটক জলদস্যু বাহিনীর প্রধান সালাহউদ্দিনসহ সবার বাড়ি হাতিয়ায়।
“অভিযানকালে দস্যুদের কাছ থেকে ১৪ রাউন্ড গুলি, চারটি রাম দা ও দুটি বগি দা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তারা চারটি আগ্নেয়াস্ত্র নদীতে ফেলে দিয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে ডুবরি দল কাজ করছে।”