সোমবার সকালে উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা বলে আমতলী থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহ জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ ১৯ জনকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, সড়কে চলাচল নিয়ে বিরোধে বাস ও মাহেন্দ্র শ্রমিকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় শ্রমিকদের ইটের আঘাতে টহল পুলিশের ভ্যানের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় তিনিসহ তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদল (৩৮), এসআই মনিরুল ইসলাম (৪০), এসআই সজল (৩৮), কনস্টেবল হাবিব (৫০), মোতালেবসহ (৫৮) নয়জন আহত হয়েছে বলে জানান ওসি।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কনস্টেবল মোতালেব ও হাবিবুর রহমানকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা আমতলী-কলাপাড়া-তালতলী মহসড়কের খেয়াঘাট ও মানিকঝুরি এলাকায় মাহেন্দ্র চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে এবং ১৬টি মাহেন্দ্র ভাংচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা বিভিন্ন সড়কে তাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে আমতলী শহরের বটতলা এলাকায় তাদের সমিতির কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে।
সকাল ১০টার দিকে তারা একত্রিত হয়ে চৌরাস্তা মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে বিপরীত দিকে অবস্থান করা বাস শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জেলা যান্ত্রিকযান থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা বলেন, আমতলী-কলাপাড়া-তালতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কে থ্রি হুইলার যান্ত্রিকযান চলাচলের আদেশ থাকলেও বাস মালিক সমিতির লোকজন সোমবার সকালে তাদের গাড়ি চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। এ সময় ১৬টি মাহেন্দ্রর কাচ ভাংচুর করে।
বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সোহেল গাজী বলেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার যান্ত্রিক যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে চালানোয় বাস শ্রমিকরা বাধা দেয়। এসময় তাদের উপর থ্রি হুইলার চালকরা হামলা করে।
হামলায় তাদের তিন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদেরকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ও বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুরুজ্জামান, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুশফিকুর রহমান এবং আমতলী-তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারেচ ঘটনাস্থলে যান।