শাহজাদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসিবুল হক সোমবার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক শিমুল হত্যা ও ছাত্রলীগনেতা বিজয় মাহমুদকে মারধরের দুটি মামলায় পৃথক শুনানি হয়।
“শুধু হত্যামামলায় মেয়র মিরুসহ ছয়জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন বিচারক মো. হাসিবুল হক।”
গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টু অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়রের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় মেয়রের পক্ষে দুটি শটগান থেকে গুলি ছোড়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।
সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল।
শিমুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আর বিজয়কে মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন তার চাচা।
তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, হত্যামামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলে ছয়জনকেই পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন আদালত।
“আর মারধরের মামলায় মেয়রের ভাই পিন্টু ও মেয়রের গাড়িচালক শাহিনকে সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছে।”
শুনানিতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম সরকার। আর বাদীপক্ষে দুই মামলায়ই আবুল কাশেম, আবদুল আজিজ, জেল হক ও মশিউর রহমান যৌথভাবে অংশ নেন।