বেলাবো থানার ওসি বদরুল আলম জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৮ জন।
নিহতরা হলেন - কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার ছাতিরচর গ্রামের মানিক মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৬), শ্যালিকা জুম্মা বেগম (১৬), ছেলে ইস্না (৮), অন্য পরিবারের মানিক মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী মাফিয়া (৩৫), ছেলে অন্তর (১০) এবং হিরা মিয়া (৩৫), আমেনা বেগম (৩২), জান্নাত (৩৫), নাজমুল (১০), শারমিন (১৮) ও শারমীনের ছেলে রাব্বি (৩)।
ওসি বদরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসটি ভৈরব থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। আর মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে দড়িকান্দী এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“সংঘর্ষে মাইক্রোবাস চুরমার হয়ে গেলে ১১ জন মারা যান। আহত হন আরও ৩০ জন।”
আহতদের মধ্যে ফিরোজা বেগম (৪৫), তার ছেলে মারুফ হোসেন (১০), পুত্রবধূ শারমিন (১৮), শারমিনের ছেলে রাব্বি (৩), কাউসার মিয়া (৩২) ও কামরুন্নাহার লিপিকে (৫০) ঢাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে বিকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে শারমীনের ছেলে রাব্বির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।
অন্যদের নরসিংদী ও ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলাবো থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান।
দুর্ঘটনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিদর্শক আরিফুর বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহায়তায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় । দুর্ঘটনার পড়া বাস-মাইক্রোবাস পুলিশ হেফাজতে ভৈরব হাইওয়ে থানায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।