পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রীকে লাঞ্ছিত

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে ঢুকে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে এক যুবক।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2017, 06:18 PM
Updated : 9 Feb 2017, 06:18 PM

বৃহস্পতিবার বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই যুবককে আটক করা যায়নি।

বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৃহস্পতিবার সকালে মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কলেজ শাখায় বহিরাগত এক তরুণ আচমকা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে মারপিট করে। এ সময় ওই ছাত্রীর কান্নাকাটিকে অন্য পরীক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর ছেলেটি সবার সামনে দিয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেলেও কেউ তাকে আটক করতে পারেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

পরে কেন্দ্র পরিদর্শক হুমায়ন কবিরসহ অন্যান্য শিক্ষক ও পুলিশ ওই ছাত্রীকে একটি কক্ষে নিয়ে বসান। সেখানে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

কিছুটা সুস্থ হলে ওই ছাত্রী বলেন, ওই ‘বখাটে’ তরুণ তার পরিচিত। প্রতিদিনই তাকে কেন্দ্রে আসার পথে উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করায় হামলা করেছে।

ছেলেটিকে আটক করা হয়নি কেন জানতে চাইলে কেন্দ্রের শাখা তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি পরীক্ষা শুরুর সময়। এ সময় বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারী মুহূর্তের মধ্যে পালিয়েছে।

ওই কক্ষে পরিদর্শক কে ছিলেন জানতে চাইলে তিনি তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেন।

এদিকে প্রকাশ্যে পরীক্ষার কক্ষে একজন বহিরাগত তরুণের প্রবেশ করা ও ছাত্রীকে মারপিট করার ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন উপস্থিত অভিভাবকরা। তারা তাৎক্ষণিক কেন্দ্র সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক এই প্রতিনিধিকে বলেন, পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি অতিক্রম করে শিক্ষকদের সামনে কীভাবে একজন বহিরাগত ছাত্রীকে মারপিট করতে পারে তা বোধগম্য না। এ ব্যাপারে পুলিশ ও কেন্দ্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।  

কেন্দ্র সচিব খালিদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। ঘটনার জন্য কারা কারা দায়ী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

বাগাতিপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার জন্য শুধু পুলিশকে দায়ী করলে হবে না। যারা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা কী করলেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ওই তরুণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।