হাজার নারীর পদচারণায় মুখরিত বউমেলা

মেলার নাম বউমেলা। এখানে ক্রেতা শুধু নারীরা। গত ২২ বছর ধরে বগুড়ার পোড়াদহে এ মেলা হয়ে আসছে।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2017, 05:38 PM
Updated : 9 Feb 2017, 05:38 PM

প্রতিবছর এখানে বসে পোড়াদহের মেলা। ওই মেলার শেষ হলে পরদিন একই স্থানে আয়োজন হয় বউমেলা।

বৃহস্পতিবার সব বয়সের হাজারো নারীর কেনাকটায় মুখরিত ছিল বউমেলা। এখানে তৈজসপত্র থেকে মনোহারি, অলংকার, শাড়িসহ নানা দোকান নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। বেশিরভাগ বিক্রেতাই মহিলা।

সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় শুধু  গ্রামীণ বধূরাই নন, শহর থেকে পোড়াদহ মেলায় আসা তরুণীরাও ভিড় জমিয়েছিলেন মেলায়। ছিল শিশুরাও।

কেউ কিনছে চুড়ি, কেউবা কানের দুল, মনোহারি সামগ্রী, কেউবা কিনছে শিশুদের জন্য খেলনা। মেলা থেকে ব্যাগভরতি করে কেউবা বাড়ি ফিরছে, কেউবা দল বেঁধে মেলায় ছুটছে।

মেলা আয়োজকরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে। পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীও ছিল তৎপর।

মেলায় আগত পাশের গ্রাম রানীরপাড়ার মিতা খাতুন, শরীফা বেগম, স্নিগ্ধা খাতুন জানান, পছন্দের চুরি-ফিতাসহ নানা মনোহারি কিনেছেন তারা। পোড়াদহ মেলায় যেতে পারেননি তারা। তবে বউমেলায় এসেছেন।

তারা প্রতিবছর বউমেলায় আসেন বলে জানান। শুধু কেনাকাটা নয়, মেলা উপলক্ষে পুরানো বান্ধবীদের সঙ্গে মেলায় তাদের দেখা হয়।

মেলায় আসা রূপসী খাতুন, নার্গিস বেগম ও সিফাত জানান, পোড়াদহ মেলায় পুরুষদের উপচেপড়া ভিড় থাকার কারণে যেতে পারেন না। এজন্য বউমেলা এসেছেন পছন্দের প্রসাধন সামগ্রী কিনতে।

বগুড়া শাহ সুলতান কলেজের স্নাতক (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্রী মল্লিকা এসেছিলেন  বউমেলায়।

তিনি বলেন, “মেলায় এসে নাগরদোলায় উঠেছি। আমার মতো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেকেই এসেছে মেলায়।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া বলেন, “বউমেলা মিস করার মতো না। তাই মেলা উপলক্ষে ছুটে এসেছি।” 

বউমেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জানান, ২২ বছর হলো এ মেলার। বুধবার পোড়াদহ মেলা শেষ হওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার মেলাটি হয়ে আসছে। এখানে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।