বৃহস্পতিবার শ্রীকোল ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান জানিয়েছেন।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে তিনি জানান।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর করা হয়েছে বলে হয় সংশ্লিষ্টরা জানান।
আহতদের মধ্যে শফিকুল (৩০), শফিউল (৩০), সোহেল (৩২), বাবর আলী (৪০) ও শমশের শেখকে (৩২) মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় মুস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থকরা তার (কুটির) সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলা ভাংচুর করে আসছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন তার বাড়িসহ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা তার বাড়িতে থাকা দুটি ট্রাক, একটি ট্রাক্টর, একটি প্রাইভেটকার, বাড়ির দেয়ালসহ দরজা-জানালায় ভাংচুর চালায়। তাছাড়া ছোনগাছা, টুপিপাড়া, খামারপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে তার সমর্থকদের ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় পুলিশের সহায়তা চাইলে শ্রীপুর থানা পুলিশ নিস্ক্রিয় থেকে প্রতিপক্ষকে হামলা ও ভাংচুর করতে সুযোগ করে দেয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
কুটি বলেন, “আগের রাতেই ওসি সাহেবকে ফোন করে এ ধরনের কিছু একটা ঘটার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম। তবুও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।”
হামলাকারীরা তার বাড়িসহ ওই এলাকার নজরুল, ইনতাজ, মজিদ, মিজানুর, জিহাদ, ওলিয়ার, লাবু খান, বাবু খান, মোকাদ্দেস, জিল্লু, বাদশাসহ অন্তত ১৫টি বাড়িতে ভাংচুর ও একাধিক গরু লুট করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন, “সবসময়ই এলাকায় শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নানাভাবে অশান্তি করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন।
“দুইদিন আগে তারা লিয়াকত মেম্বার ও কবিরকে মারধর ও দুই নারীর শ্লীলতাহানি করেছে। আজ সকালে তার (কুটি) লোকজন পূর্ব শ্রীকোল গ্রামে দুটি বাড়িঘর ভাংচুর করলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।”
পুলিশ সুপার জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন। মামলা হচ্ছে। যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।