নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই: হানিফ

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2017, 03:05 PM
Updated : 9 Feb 2017, 03:05 PM

বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন এবার সবচেয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে গঠিত হয়েছে। মহামান্য রাষ্টপতি জনগণের অভিভাবক হিসেবে এ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী।

কমিশনে যারা আছেন তারা প্রত্যেকে তাদের কর্মজীবনে দক্ষতা, মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করার সুযোগ বা যৌক্তিকতা নেই। যারা এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্কিত করতে চান বা বিভিন্ন কথা বলছেন তাদের আসলে জনগণের রায়ের প্রতি কোনো আস্থা নেই। নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই।”

তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করার জন্য এই ধরনের কথাবার্তা বলে আসছেন বলে তিনি মনে করেন।

বিএনপির উদ্দেশে হানিফ বলেন, ইতিপূর্বে ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই ভুল রাজনীতিটাকে আড়াল করার জন্য তারা বারবার ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে।

তারা আবার বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন দাবি করে তিনি বলেন, “বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা না বলে আসুন আমরা সকলে মিলে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করি, যাতে আগামী দিনগুলিতে প্রত্যেকটা নির্বাচনই সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।”

কুষ্টিয়া মুসলিম হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিকতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জন থেকে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তাতে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে আছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক আমলা নুরুল হুদা তাকে নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বলে মন্তব্য করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সময় ঢাকায় গঠিত জনতার মঞ্চের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি ছিল, নুরুল হুদা জনতার মঞ্চের সঙ্গে ছিলেন।