বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশে কানাডার হাই কমিশনার বেনিয়েত পিয়েরে লারামি ও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জুলিয়া নিব্লেটও ছিলেন।
পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে তাদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়নের বর্ণনা দেয়।
এ সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় এ তিন কূটনীতিক বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।
তাদের সঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশের প্রতিনিধি, ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও এসিএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকরা বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেন। তারা প্রথমে শিবিরের একটি স্কুল পরিদর্শন করেন। সেখানে শিশুদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলেন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
এরপর নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এ তিন কূটনতিক।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্ল্যাক বলেন, “শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের নির্যাতন ও হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। এসব নির্যাতন গণহত্যার শামিল।”
এসব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে কানাডার হাইকমিশনার বেনিয়েট পিয়েরে লারামি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক কাজ করেছে। মানবাধিকার রক্ষায় এ সরকারের উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ তিন কূটনীতিক উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সকাল ১০টার আগে কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এসিএফ চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বুধবার বিকালে বিশেষ বিমানযোগে এ তিন কূটনীতিক ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছেন। সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের পক্ষের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমানের সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোগোষ্ঠীর অন্তত ৬৬ হাজারের বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।