বুধবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলায়েন তার নিজের ও সাধারণ সম্পাদক ফায়জুর রহমান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তবে পুলিশ এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশ কিংবা উপজেলা প্রশাসন এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা শোনেনি বলে জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দিঘলকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউনিয়ন যুবলীগ এক কর্মী সমাবেশ আহ্বান করে। এ সমাবশে উপলক্ষে মঙ্গলবার ওই মাঠে মঞ্চ নির্মাণের জন্য বাঁশ পোতা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা) আসনের সাংসদ নিক্সন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন আকস্মিকভাবে ১০/১২ জন লোকসহ ওই মাঠে হাজির হয়ে মঞ্চ নির্মাণের বাঁশ ভাঙেন এবং তুলে ফেলেন, বলেন হেদায়েতুল্লাহ।
বুধবার ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন, পল্লি বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার জন্য দিঘলকান্দা সরকারি প্রথিমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সাংসদ। কিন্তু এ অনুষ্ঠান ‘বানচাল করতে’ ইউনিয়ন যুবলীগ দিয়ে একই সময়ে একই জায়গায় কর্মী সমাবেশ আহ্বান করে।
“এ ব্যাপারে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে সাংসদ ওই মাঠে গিয়েছিলেন। আলোচনা করে সাংসদ তার নির্ধারিত কর্মসূচি পিছিয়ে দেন।”
গুলির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, “এ জাতীয় কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি একটি মিথ্যাচার।”
ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, সাংসদ গুলি করেছেন মর্মে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে ওই স্কুল মাঠে সাংসদই আগে কর্মসূচি দিয়েছিলেন বলে ওসি জানান।
ভাঙ্গা থানার এসআই মো. মিরাজ হোসেন বলেন, সাংসদ ওই মাঠে গুলি ছুড়েছেন বলে কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়নি বা ওই এলাকার কোনো বাসিন্দা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রণব কুমান ঘোষ বলেন, “দুই পক্ষের সভা নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ওই স্কুল মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে গোলাগুলির অভিযোগটি নিতান্তই একটি গুজব।”