গত সোমবার নীলফামারীর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই পদে নিয়োগপ্রার্থী কাজী জাহাঙ্গীর ওয়ার্সী।
মামলায় নীলফামারী জেলা প্রশাসক, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার জন্য কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না, তা নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীর কাছে জানতে চেয়েছে।
“পরদিন মামলার ১ নম্বর বিবাদী জেলা প্রশাসকের পক্ষে জবাব দেওয়ার জন্য এক মাস সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ২৭টি এবং সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের সাতটি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত পরীক্ষায় মোট চার হাজার ৯৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার পাঁচ ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এরপর ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তাদের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দিয়ে ওইদিনই কাজে যোগদান করানো হয়েছে।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে মামলায়।
যাদের নিয়োগ দিয়ে কাজে যোগদান করানো হয়েছে তারা অনেকেই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট আত্মীয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন, তাদের অভিযোগ সত্য না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদসস্যের নিয়োগ কমিটি প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগ প্রদান করেছে।
মামলার বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সোমবার রাতে নীলফামারী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা।
মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে বাজার ট্রাফিক মোড়ে সমাবেশ করে।
সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, ছাত্রলীগ নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখা সাবেক আহবায়ক কাজী আলমগীর হোসেন রাজা প্রমুখ।
এছাড়া একই দাবীতে মঙ্গলবার বিকালে শহরের বড়বাজারে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা।