চলন্ত বাস থেকে ‘ফেলে দেওয়ায়’ কলেজছাত্র গুরুতর আহত

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ‘চলন্ত বাস থেকে চার ছাত্রকে ফেলে আহত করার’ প্রতিবাদকারী কলেজছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2017, 09:34 AM
Updated : 8 Feb 2017, 10:04 AM

পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এছাড়া বাস কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে বলেও জানায় পুলিশ।

রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম বারী খান জানান, কলেজের সামনে রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া সড়কে বুধবার বেলা ১২টার দিকে ছাত্ররা অবরোধ কর্মসূচি দিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির চার ছাত্রকে ‘সুপারভাইজার ও হেলপার চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিলে’ তারা আহত হয়। তাদের একজনের মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

আহত কলেজছাত্র নাঈম মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি-ভাণ্ডারিয়া রুটের নূর-নোহা নামের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে চলছিল। নারী যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে চালক ক্ষিপ্ত হয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দেন।

“পরে কৈবর্তখালীতে নির্মাণাধীন কালভার্টের কাছে গতিরোধকে গতি না কমালে ধাক্কা লেগে গিয়াস ও মেজবাহ নামে দুই ছাত্রের মাথা কেটে যায়। আমরা আমাদের গন্তব্য গালুয়ার বাজারে নামতে চাইলে বাস না থামিয়ে হেলপার ও সুপারভাইজার সাকিব ও শাহাদাৎ নামের দুই ছাত্রকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হয়।

“বাসের অন্য দুই ছাত্র মেজবাহ ও গিয়াসকে গালুয়ার বাজার থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কানুদাশকাঠী এলাকায় একই কায়দায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় তারা। তারাও গুরুতর জখম হয়।”

আহত চার ছাত্রকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আবুল খায়ের মাহমুদ বলেন, গিয়াস ও মেজবাহর পা ও হাতে ক্ষত হয়েছে। এছাড়া মেজবাহর মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনারই প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে ছাত্ররা কর্মসূচি দেয়।

অধ্যক্ষ বারী অভিযোগ করেন, “ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিল। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা করে। এতে ছয় ছাত্র আহত হয়। আমি বাধা দিলে পুলিশ আমার সাথেও অশালীন আচরণ করে।”

তবে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মুনীর-উল গিয়াস বলছেন, ছাত্রদের ওপর লাঠিপেটা করা হয়নি। তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চলন্ত বাস থেকে ছাত্রদের ফেলে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাস কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

“ছাত্ররা বলছে তাদের চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর বাসের হেলপার ও চালক বলছে, বাসে ভাংচুর করে ছাত্ররা নিজেরাই বাস থেকে লাফিয়ে পড়েছে।”

পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মুনীর-উল।