মঙ্গলবার বিকালে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান (৩৫) উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের বড় বৈদ্য বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।
একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমান উল্যাহ জানান, ২০১০ সালের ২৪ জুলাই মেয়ের সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাজমুলের শ্বশুর আবুল কাশেম। জিডির পর ওই দিনই নাজমুলকে আটক করে পুলিশ।
“পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হোসনে আরা ও মেয়ে নাজনিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন নাজমুল।”
পিপি আমান উল্যাহ বলেন, ২০১০ সালের ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় নাজমুল প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে। পরে মেয়ে কান্নাকাটি করলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
“আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান একই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।