ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বাড়িতে রেখে পড়ানোর কথা বলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2017, 01:20 PM
Updated : 7 Feb 2017, 01:20 PM

বিষয়টি গোপন রাখার জন্য হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ করা হয়নি বলে মেয়েটির পরিবার থেকে জানানো হয়।     

বালিহাটা গ্রামের মোবারক মোড়লের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কথা বলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মেয়েটি (১২) নিজে ও তার মা।     

মেয়েটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার মা ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করেন। গ্রামে মোবারক মোড়লের বাড়িতে থেকে কাজ করার পাশাপাশি তিনি পড়াশোনাও করেন। প্রায় তিন মাস আগে মোবারক মোড়ল পাশের জঙ্গলে তাকে প্রথম ধর্ষণ করেন। এরপর আরেকদিন বাড়িতে মোবারকের স্ত্রী ও ছেলের বউ না থাকার সুযোগে ঘরে ধর্ষণ করেন।

বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও মেয়েটির দাবি। 

মেয়েটির মা বলেন, মেয়ের বাবা সাত বছর ধরে নিখোঁজ। তিনি ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করেন। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। মেয়ের চলাফেরা দেখে তার সন্দেহ হলেও তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি।

“গত ২৪ জানুয়ারি মেয়ের পেট ব্যথা শুরু হলে তাকে নিয়ে মোবারক তারুন্দিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক দুলালের কাছে যান। দুলাল তাকে ওষুধ খাইয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরদিন ভোরে তার গর্ভপাত হয়। অনেক রক্তক্ষরণ হয়।”

এদিকে মোবারকের ছেলে শাহজাদা মোবাইল ফোনে তাদের হুমকি দিয়ে ঘটনাটি গোপন রাখতে বলছেন বলে দাবি মেয়েটির মায়ের।

পল্লী চিকিৎসক দুলাল বলেন, “আমি শুনেছি মোবারক মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন। ছাত্রীটিকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে আমি তাকে কোনো ওষুধ দেইনি।” 

উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি জানার পর আমি মোবারকের কাছে গেলে তার স্ত্রী ঘটনাটি মীমাংসার কথা বলেন। কয়েক দিন পর মোবারক ওই ছাত্রীকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। পরে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু না বলায় আমি আর কাউকে কিছু বলেনি।”

উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “ওই ছাত্রী ও তার মা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।”

এ বিষয়ে মোবারক মোড়লের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে বাবা এমন কাজ করতে পারেন না বলে দাবি মোবারকের ছেলে বাহাদুরের।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, “ছাত্রীকে ধর্ষণ বা গর্ভপাতের বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”