শিয়া মসজিদে হামলায় ৯ জেএমবির নামে অভিযোগপত্র

বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলায় একজনের মৃত্যুসহ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার প্রায় ১৪ মাস পরে জেএমবির নয় সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2017, 10:17 AM
Updated : 7 Feb 2017, 11:41 AM

কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে পারেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, নয়জনের বিরুদ্ধে মারধরসহ হত্যার তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করে গত ১৮ জানুয়ারি বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত-২-এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর শুনানি হবে আগামী ৮ মার্চ।

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের চককানু গ্রামের শিয়াদের মসজিদ-ই-আল মোস্তফায় মাগরিবের নামাজের সময় হামলা হয়।

এতে মারা যান মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮)। গুলিতে আহত হন ইমাম শাহিনুর রহমান (৩৫), নামাজে আসা আবু তাহের (৫৫) ও আফতাব আলী (৪৫)।

ঘটনার পর একই গ্রামের সোনা মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর নয়জনকে শিয়াবিদ্বেষী প্রতীয়মান হয়েছে। তারা  সবাই জেএমবির সদস্য। তারা হামলার সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

তারা হলেন - বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার এমদাদুল হক, আব্দুল বাছেদ, আব্দুল হামিদ ওরফে হামিদুল, শাজাহানপুর উপজেলার আব্দুল মোমিন মণ্ডল, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল, গাবতলি উপজেলার খাদেমুল ইসলাম, আজাদ প্রামানিক, গাইবান্ধা সদর উপজেলার আজাদুল কবিরাজ ওরফে বিল্পব ও জয়পুরহাটের ইয়াসিন আলী।

তাদের মধ্যে এমদাদুল, বাছেদ, হামিদ ওরফে হামিদুল ও ইয়াসিন কারাগারে রয়েছেন বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান। অন্য পাঁচজন পলাতক।

হামলাকারী হিসেবে পুলিশ ১৩ জনকে শনাক্ত করে জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের মধ্যে কাওছার, আনোয়ার হোসেন, ওসমান ও রানা বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। অভিযোগপত্রে তাদের নাম রাখা হয়নি।