কুমির ছানা চুরি হয়নি, খেয়েছে চিতা বিড়াল: বনবিভাগ

সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ৪৩টি কুমির ছানা চুরি হয়নি; ‘চিতা বিড়াল’ খেয়েছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2017, 03:50 PM
Updated : 6 Feb 2017, 03:50 PM

সোমবার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রজনন কেন্দ্রের একটি চৌবাচ্চায় রোববার ১৪টি কুমির ছানাকে ‘মৃত’ ও দুইটি কুমির ছানার লেজের অংশ পাওয়া যায়। 

ওই চৌবাচ্চার আরও একটি কুমির ছানা নিখোঁজ হয়।এ ঘটনায় বন বিভাগ ‘ক্যামেরা ট্রাপিং’ শুরু করলে তাতে একটি ‘চিতা বিড়াল’ শনাক্ত  হয় বলে জানান তিনি।

সাইদুল বলেন, “চিতা বিড়ালটি কুমির ছানাগুলোকে খেয়ে ফেলে। বন্যপ্রাণীটি হিংস্র হওয়ায় তাকে দূর থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”

গত ২৯ শে জানুয়ারি করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ৪৩টি কুমির ছানা ‘চুরি’ হয় বলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো.মেহেদীজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটককমকে জানিয়েছিলেন।

কুমির ছানা চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বনবিভাগের লস্কর মাহাবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে বনবিভাগ। গঠন করে তদন্ত কমিটি, করা হয় চুরির মামলা।

তদন্ত কমিটির প্রধান মেহেদীজ্জামান বলেন, বনবিভাগের লস্কর মাহাবুব আলম ও অস্থায়ী শ্রমিক জাকির হোসেন কুমিরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।

লস্কর মাহাবুবের সহযোগিতায় জাকির কুমিরগুলি পাচার করে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন মেহেদীজ্জামান।

গত ২৯ জানুয়ারিতে প্রথমে ৪৩টি কুমির ছানা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বনবিভাগের নজরে আসে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চৌবাচ্চায় রাখা আরও ১৭টি কুমির নিখোঁজের খবর পায় বনবিভাগ।

কুমির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে ক্যামেরা ট্রাপিং বসানো হয় বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

প্রজনন কেন্দ্রে রোমিও নামে একটি পুরুষ, জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুটি নারী কুমির ছাড়াও ২১৭টি ছানা রয়েছে।

কুমির ছানাগুলো চুরি হয়েছে দাবি করে একজনকে শাস্তি দিলেন এখন চিতা বিড়ালে খেয়েছে বলছেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

তবে তিনি বলেন, কুমির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গঠিত কমিটি এখনও তদন্ত করছে। কমিটির দুই কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তদন্তের জন্য আরও সাতদিন সময় চেয়েছে।