সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আনোয়ারপুর গ্রামে তার বাড়ির উঠানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
তার ব্যক্তিগত কর্মচারী সুজিত রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকবছর আগে স্যার বাড়ির আঙিনায় একটি চন্দ গাছ রোপন করেছিলেন। তাকেই ওই চন্দন গাছের কাঠ দিয়েই দাহ করা হয়েছে।”
দুপুরে সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ নিয়ে আসা হয় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে। সেখানে তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
তিনি বলেন, “আমার বাবাকে সাধারণ মানুষ এত ভালবাসে তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি, পরিবারের পক্ষ কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। আপনাদের ভালবাসায় আমরা বেঁচে থাকতে চাই।”
পরে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রোববার ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিকালে
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে আসা হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ। পরে শহীদ মিনারে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার রাজনৈতিক সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৩৯ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করেন তিনি। পরে আইন পেশায় যুক্ত হন।
আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন।