বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আলী রেজা হায়দার জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের একাংশের বাধায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।
“শনিবার সকাল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসেনি। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।”
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোলের বড় ব্যবসায়ীদের রপ্তানি পণ্যের চালান বহন করে এমন দশটি ট্রান্সপোর্টকে আগে বেনাপোল বন্দরে ঢোকানোর নির্দেশ আসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এতে ছোট ব্যবসায়ীরা এ আদেশের প্রতিবাদ জানিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দাবি আদায়ে যে কোনো কর্মসূচি তারা নিতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি যদি আগে থেকে আমরা জানতে পারতাম তবে আমদানি স্থগিত রাখলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না।”
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান বলেন, দুই বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে পেট্রাপোলে যাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরেও বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য কয়েকশ ভারতীয় ট্রাক পণ্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। শুধু বনগাঁ-কালিতলা ট্রাক টার্মিনালে প্রায় সাত হাজার ট্রাক আটকে আছে।