শনিবার বিকালে শহরের ঢাকা রোড় ব্রিজের উপর থেকে ওই নারী শিশুটিকে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান সুজন আহম্মেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী।
আটক হেনা বেগম শিশুটির আসল মা কি না তা অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
সুজন আহম্মেদ বলেন, ওই নারী তার কোলে থাকা শিশুটিকে ব্রিজের উপর থেকে নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পথচারীরা বিষয়টি দেখে চিৎকার শুরু করলে সেখানে উপস্থিত রফিক হানজালা নামে এক যুবক নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
পরে রফিকসহ স্থানীয়রা শিশুটিকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করার পাশাপাশি হেনা বেগমকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হেনা বেগম নিজেকে শিশুটির মা দাবি করে জানান, তার স্বামী শরিফুজ্জামান ঢাকায় চাকরি করেন। সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে সোহাগ পরিবহনে মাগুরার গোয়ালখালী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন।
“কিন্তু গাড়ি থেকে নামার পর অসুস্থবোধ করায় মেয়েকে নিয়ে ব্রিজের কাছে বাতাসে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই হাত থেকে মেয়ে পানিতে পড়ে যায়।”
তার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ঢাকার উত্তরা টাউন কলেজে অনার্স এবং দ্বিতীয়টি স্কুলে পড়ে। স্বামী ও মেয়েদের নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন বলে দাবি করছেন।
মাগুরা সদর থানার এসআই বশির আহমেদ বলেন, শিশুটি পানিতে পড়ে যখন কষ্ট পাচ্ছিল সে সময় হেনা বেগম তাকে উদ্ধার না করে স্বাভাবিকভাবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় বিষয়টি রহস্যজনক। তার আচরণও রহস্যজনক বলে মনে হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানান এসআই বশির।