শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত দল শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থল নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে আসে।
কমিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে।
কমিটির প্রধান হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখানে পুরো ঘটনাটি ভালোভাবে তদন্ত করে দেখব। সবার কথা শুনে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
কমিটির অপর সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মোস্তফা কামাল।
এর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগ গঠিত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দা সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল গত ২ ফেব্রুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ওই কমিটিতে নূর হোসেনকে সাক্ষ্য দিতে ডাকা হলেও তিনি না এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠান। লিখিত বক্তব্যে তিনি ‘ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন’ বলে জানান সারোয়ার জাহান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি নূর হোসেনের সঙ্গে কথা বলবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোহামম্মদ হোসেন।
গত ৩০ জানুয়ারি হাইমচরের ওই বিদ্যালয়টিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্ররা হাতে হাত রেখে তার ওপর একজনকে শুইয়ে প্রতীকী ‘পদ্মা সেতু’ বানায়। তাতে হাঁটার ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নূর হোসেন সমালোচনায় পড়েন।
ঘটনার পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা করেন আবদুল কাদের নামে এক অভিভাবক। মামলায় নূর হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
নূর হোসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ অলংকৃত করছেন। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ।