বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামান এ কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটির পাশাপাশি বন বিভাগের দুই কর্মীকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
করমজলের অবস্থান খুলনা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীরে। ৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে কেন্দ্রটির বিস্তৃতি। এটি সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অন্তর্গত চাঁদপাই রেঞ্জে অবস্থিত।
এসিএফ মেহেদীজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রজনন কেন্দ্রের দুটি চৌবাচ্চায় ছয় মাস বয়সের নব্বইটি কুমির রাখা ছিল। গত ২৯ জানুয়ারি চৌবাচ্চা থেকে ৪৩টি কুমির চুরি হয়ে গেছে।”
ঘটনার দিন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের লস্কর মাহাবুব আলম ও অস্থায়ী শ্রমিক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার পর থেকে জাকির হোসেন পলাতক রয়েছেন বলে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, কুমির ছানা চুরির ঘটনা তদন্তে ১ ফেব্রুয়ারি এসিএফ মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তাদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেন এ কর্মকর্তা।।