ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী সফটওয়্যার প্রকৌশলী আশফাককে যাত্রাবাড়ীর দনিয়ার একটি বাড়ি থেকে বুধবার ভোররাতে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব।
টেলিভিশনে খবর দেখে ছেলেকে চিনতে পারেন রংপুর নগরীর দক্ষিণ কামাল কাছনা এলাকার সামছুল হক, যিনি ওই নগরীর রবার্টসনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে শিক্ষকতা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আশফাককে (২৫) গত বছরের ৬ জুন রংপুরের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল।
“গত বছরের ৬ জুন মধ্যরাতে সাদা পোশাকে একদল লোক বাড়িতে আসে। তারা গেইট খুলতে বললে আমি খুলে দেই। পরে ৬/৭ জন লোক বাড়িতে ঢুকে আমার ছেলে আশফাককে ডাকতে বলে।”
“আশফাক তাদের সামনে এলে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা আমাকে জানায়, তার (আশফাক) সঙ্গে কথা বলে তাকে ফেরত দিয়ে যাবে।”
এরপর থেকে তাকে আর ফেরত দেওয়া হয়নি। পরদিন রংপুর ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে গেলে তারা কিছু জানে না বলে জানায়, বলেন সামছুল হক।
ছেলের সন্ধান চেয়ে গত ৮ জুন রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলেও জানান তিনি।
দুই বছর আগে আশফাক বিয়ে করেছেন জানিয়ে সামছুল হক বলেন, তার একমাত্র বাচ্চার বয়স যখন দুই মাস তখনই তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আশফাক-ই-আজম ওরফে আপেলের সন্ধান অব্যাহত রাখার মধ্যেই বুধবার ভোরে যাত্রাবাড়ীতে জঙ্গি আস্তানায় আটক চারজনের মধ্যে আশফাকের ছবি টেলিভিশনে দেখতে পাই।”
মঙ্গলবার রাতে জঙ্গি আস্তানা থেকে আশফাকসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। র্যাবের দাবি, এরা জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। এদের মধ্যে আশফাক দলের ‘আইটি এক্সপার্ট। জঙ্গিদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট পরিচালনা ও ‘টেকনিক্যাল সাপোর্ট’ দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার ওপর।