মীরেরটেক এলাকায় একটি জঙ্গলে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শিশু আমিরুলের লাশ পাওয়া যায় বলে পাকুন্দিয়া থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান।
আমিরুল পাকুন্দিয়ার বুরোদিয়া ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। গত ২১ জানুয়ারি নজরুলের স্ত্রী রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি হাসান আল মামুন বলেন, পাবদা গ্রামের ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ মেয়ে রহিমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশী ‘নজরুল’। এক পর্যায়ে রহিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তার ছেলে হয়।
“এ অবস্থায় রহিমার পরিবারের লোকজনের চাপের মুখে গত ১০ জানুয়ারি নজরুল বিয়ে করে রহিমাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যান। বিয়ের তিনদিন পর ১৩ জানুয়ারি বেড়ানোর কখা বলে সন্তানসহ রহিমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন নজরুল।”
ওসি আরও জানান, তিনদিন পর নজরুল বাড়ি ফিরে গেলেও রহিমার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর গত ২১ জানুয়ারি রাতে মীরারটেক এলাকা থেকে রহিমার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, রহিমার লাশ উদ্ধারের পরদিন ২২ জানুয়ারি তার ভাই আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে নজরুলসহ চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে নজরুলের ছোট ভাই দীন ইসলামসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।