মঙ্গলবার নিজ বাড়ি রোয়ার গ্রামে এ প্রীতিভোজের আয়োজন করেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জিয়া।
তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিমন্ত্রিত অতিথিসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩০ হাজার মানুষ এসেছে।
একবারই ব্যবহারযোগ্য ৩০ হাজার (ডিসপোজেবল প্লেট) প্লেটের প্রায় সবকটিতে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রধান বাবুর্চি বগুড়া শহর থেকে আসা তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ১০০ মণ গরুর মাংস, ২০ মণ খাসির মাংশ, ৮০ মণ মাছ ও দেড়শ মণ আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজি রান্না করা হয়েছে। ৬০০টি চুলায় ৯০ জন বাবুর্চি ও তাদের ১২০ জন সহযোগী রান্না করেন।
আয়োজনে ৪৫ মণ দই ও ৪০ মণ মিষ্টিও ছিল বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে সাতদিন ধরে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক পালাক্রমে কাজ করেছে বলে জানান জিয়া।
খাবার একই রকম হলেও দুই ধরনের প্যান্ডেল করা হয়। একটাতে মাটিতে বিছানো মাদুরে সাধারণ মানুষ ও অন্যটিতে চেয়ার- টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এই বিশাল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয় বলে জানান আক্কেলপুর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।
এই বিশাল আয়োজনকে ঘিরে রাজনৈতিক কোনো অভিলাষ নেই দাবি করে জিয়া বলেন, “আমাদের পরিবারের আয়োজনে প্রতি বছর প্রীতিভোজ ছাড়াও গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্ত খেলাধূলা, পালা গান, জারি-সারি, মুর্শির্দী গানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়ে থাকে।”
বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের অনুষ্টান কর বিভাগকে অবহিত করে করতে হয়। স্থানীয়দের কাছে থেকে বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।”