সিভিল সার্জন সিরাজুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কমপক্ষে ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু।
শীত ও গরমের দোলাচালে তারা আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আহসান হাবিব বুলু বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে রাতে শীত আর দিনে গরম পড়ছে। আবহাওয়ার এমন আচরণের কারণে প্রতিদিনই আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে।”
এদিকে হাসতাতালে ভর্তি হলেও যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া আসমা বলেন, “দুই দিন ধরে ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। দুই দিনে দুইবার ডাক্তার এসেছিল। হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিলেও দামিগুলো বাইরের দোকান থেকে কিনে আনতে হয়।”
অনেককে আবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর যেতে বলা হচ্ছে, যা তাদের জন্য আরও দুর্ভোগের কারণ।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু সিফাউলকে।
সিফাউলের বাবা শরিফুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক। কিন্তু সময় ও আর্থিক কারণে রংপুর যাওয়া তার জন্য কঠিন বলে তিনি জানান।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে একটু ডাইরিয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। চিকিৎসক কম থাকায় রোগীদের চাপ সামলাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।