হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে সিংড়ায় থানায় করা এজাহারে বলা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সিংড়া গোল ই আফরোজ সরকারি কলেজের এক ছাত্রী তার মার সঙ্গে সকালে তাজপুর ইউনিয়নের তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যান।
এ সময় ওই কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের সহযোগিতায় তিনভিটা গ্রামের সিদ্দিক প্রামাণিকের ছেলে মো. সেলিম ও নজু ফকিরের ছেলে শামীম ফকির ওই ছাত্রীর মাকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন।
পরে সেলিম ও নজু ফকির মেয়েটির ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে মেয়েটির মা বাইরে ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এদিকে এক পর্যায়ে ওই যুবকের পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মেয়েটির ভাই থানায় অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি আমার বোনের কাছে ও মায়ের কাছে ঘটনা শুনে অভিযোগ করেছি। সেলিম নামের ওই ছেলেটি অনেক আগে থেকেই আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করত।”
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, “তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে গতকাল স্বাস্থ্য সহকারী কাউছার আলী দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মোবাইল ফোন নম্বর না থাকায় কিছু বলতে পারছি না।”
স্বাস্থ্য সহকারী কাউছার আলী বলেন, “আমি সকালে কেন্দ্রের বারান্দায় বসে কাজ করছিলাম। ওই সময় মেয়েটিকে দেখেছিলাম। তিনি কেন্দ্রের ভিতরে ছিলেন। তখন মাহবুরসহ কয়েকজন ছেলে ছিল। তবে কোনো ঘটনা আমি দেখিনি।”
সিংড়া থানার দায়িত্বরত এসআই আব্দুল মজিদ বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআই খাইরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খাইরুজ্জামান সন্ধ্যায় জানান, তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদেকুর রহমান জানান, “মেয়েটির মুখে ঘটনা শুনে তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে বলেছি।”