শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিককে পুলিশের মারধরের কথা অস্বীকারের একদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বললেন।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে থাকা এটিএন নিউজের প্রতিবেদক এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরা পারসন আব্দুল আলীমকে দুপুরের দিকে শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করে পুলিশ। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
ঘটনার একদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ সাংবাদিকদের মারধর করে না, মাঝেমধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।”
মন্ত্রীর এ বক্তব্য সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
এ বক্তব্যের বিষয়ে তিনি টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের বলেন, “কালকের ঘটনাটা হলো- কালকে আমাকে হঠাৎ করে এসে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে- তাৎক্ষণিক আমার জানা ছিল না যে কোন সাংবাদিক কীভাবে নিগৃহীত হয়েছে। কাজেই আমি বলেছিলাম যে সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্ক থাকে, সেজন্যই হয়ত ধাক্কাধাক্কি কিছু একটা ঘটেছে। এইটুকুই বলেছিলাম।
“যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা পুলিশ করে থাকে তার বিচার অবশ্যই হবে এবং এগুলোর ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা সেগুলো যাচাইবাছাই করে দেখছি। আমাদের একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে, ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন এবং যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাকেও আমরা -- ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কাজেই আমার মনে হয় সবকিছু হচ্ছে, যা ঘটেছে তার সঠিক ব্যবস্থাই হবে।”
বিকালে সখিপুরে শওকত মোমেন শাহজাহান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসইল-সখিপুরের সাংসদ অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল সদরের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, মহিলা সাংসদ মনোয়ারা বেগম, পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, সখিপুর পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ প্রমুখ।